প্রকৃতিকে পূর্ণতা দান করেছে পাখি ও উদ্ভিদ, পাখি ছাড়া প্রকৃতির সৌন্দর্য যেন একেবারেই বেমানান। প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে খুব বেশি দরকার পাখির অভয়ারণ্য তৈরি।
সকাল দুপুর বা রাত হঠাৎ পাখির কিচিরমিচির মুখর গোটা এলাকা। খাওয়ার সময় হলেই ঝাঁকে ঝাঁকে চলে আসে শালিক কাকসহ নানা জাতের পাখি। তাদের নিয়ম করে খাবার দেন বাবু নামের এক পাখি প্রেমী মানুষ। পাখিগুলো খাবার খেয়ে চলে যায়। রাজশাহী শহরের সিএনবি মোড়ের গেলে দেখা মিলবে এই দৃশ্যের।
যিনি খাবার দেন সেই বাবু সিএনবি মোড়ের একটি হোটেলের কর্মচারী। দীর্ঘ সময় ধরে খাওয়ার সময় হতে না হতেই পাখির ঝাঁক এসে বসে তার দোকানের আশেপাশে। বাবু জানান, সেই ঝাঁকে শুরুর দিকে ৫ থেকে ১০ টি পাখি থাকতো। তবে এখন ২০০ টির মত কখনো ৫০০ বা ১০০০ টির অধিক পাখিও দেখা যায়। তিনি বলেন যতক্ষণ না তিনি খাবার দেন ততক্ষণ পাখিগুলো দোকানের বাইরে বিশাল গাছের ডালে অপেক্ষা করতে থাকে।
শুধু বাবু নয় তার সাথে তার হোটেলের কর্মচারীরাও বেশ খুশি হন এমনভাবে পাখিকে খাওয়ানোর জন্য। তারা পাখিদের পুরি পরোটা ভাত সহ হোটেলের বেঁচে যাওয়া বিভিন্ন খাবার দিয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুজ্জামান শাহ্ বলেন, আমাদের পরিবেশের জন্য পাখি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশ রক্ষায় পাখির অভয়ারণ্য তৈরি করা জরুরি”
নিয়মিত পাখিকে খাবার দেওয়া তার প্রাণিকুলের প্রতি নিশ্চয়ই এক ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। তবে পরিবেশ রক্ষায় পাখির অভয়ারণ্য তৈরি করা জরুরি বলে মনে করেন পাখি প্রেমিকরা।