আজকের সমাজে একধরনের চাপা সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে— বোবা হয়ে থাকতে হয়। ঘরে, সমাজে কিংবা কর্মক্ষেত্রে—আপনি যদি কিছু বলেন, তাতে কারও না কারও ‘অপমান’ হয়, কেউ না কেউ ‘রুষ্ট’ হয়। এক কথায়, আপনি হয়ে ওঠেন সমস্যা সৃষ্টিকারী। অথচ, সত্য বলা বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করাটাই তো ছিল নাগরিক দায়িত্ব।
অনেকেই তাই আজকাল বেছে নিচ্ছেন নীরবতা। কেউ বলেন, “ঘরে শান্তি রাখতে চুপ করে থাকি”, কেউ বলেন, “অফিসে ঝামেলা এড়াতে বোবা হয়ে থাকি”, আবার কেউ সমাজে বলেন, “সবাই নিজের মতো চলুক, আমি কিছু বললে উল্টো বিপদ”। এই নীরবতাই কি এখন সবচেয়ে বড় অস্ত্র, নাকি এটা আমাদের পরাজয়ের প্রতীক?
বোবা হয়ে গেলে সত্য বেঁচে থাকে না। মিথ্যার জয় হয়। অন্যায় পেয়ে যায় লাইসেন্স। কিন্তু একই সঙ্গে এটাও সত্য যে, প্রতিবাদের ভাষা যখন হুমকি, সহিংসতা বা অপমানের রূপ নেয়, তখন সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তাই, বোবা হয়ে না থেকে আমাদের দরকার সাহসী কিন্তু সংযত কণ্ঠস্বর। সত্য বলার চর্চা, কিন্তু শালীনভাবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ, কিন্তু অহংকার নয়।
শান্তি চায় সবাই। কিন্তু সেই শান্তি যদি হয় অন্যায়ের সঙ্গে আপস করে, তাহলে তা আর শান্তি নয়—তা পরাজয়ের ছায়া।
লেখক :
মোঃ নুরে ইসলাম মিলন
সভাপতি
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, রাজশাহী বিভাগ।