রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টেনসিভ  কেয়ার ইউনিট(আইসিউ) রোগীদের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে উন্নত মাণের খাবার। হাসপাতালের অর্থায়নে এই সমস্ত রোগীদের জন্য বিশেষ এই খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। সাধারণত আইসিইউ রোগীদের জন্য বিশেষ খাবার প্রয়োজন হয়। যেটি সরবরাহ করতে অনেক অভিভাবকদেরকে হিমশিম খেতে হয়। এ অবস্থা বিবেচনা করে আইসিইউ’র পক্ষ থেকে রোগীদেরকে বিশেষ খাবার পরিবেশনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এখন সেটি সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ নিয়ে আইসিইউ’র ইনচার্জ ও সহযোগী অধ্যাপক আবু হেনা মোস্তফা কামাল তার ফেসবুকে আজকে একটি পোস্ট করেন, সেটি সিল্কসিটিনিউজের পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হলো..

২০২২সালে নতুন আইসিইউ কমপ্লেক্সের ডিজাইন করার সময়ই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, একটি নিজস্ব নিউট্রিশন কেন্দ্র করবো। রোজার পূর্বেই দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করতে পারলেও রাতেরটা সম্ভব হচ্ছিল না। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কৃপায়, গত সোমবার থেকে দিন রাত ২৪ ঘন্টার খাবার আইসিইউর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রোগীকে সরবরাহ করা হচ্ছে। রোগীর স্বজনদের বাইরে থেকে কোন খাবারই আনতে হচ্ছে না।
পেডিয়েট্রিক আইসিইউতে বাচ্চার মা দের পুষ্টির জন্য বিশেষ খাবার কর্পোরেট হাসপাতালের মতো প্যাকেট করে দেওয়া হচ্ছে। জেরিয়েট্রিক এবং এ্যাডাল্ট আইসিইউতে ডিম, হরলিক্স এবং আপেল দিয়ে সকালে স্যুপ এবং ডাল, চাল ও মুরগির মাংস দিয়ে স্যুপ তৈরী করে বিকেল ও রাতে দেওয়া হচ্ছে।
এসব কিছু দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত একজন নার্সিং কর্মকর্তার তত্বাবধানে আইসিইউ কমপ্লেক্সের পুষ্টি কর্নারে বিশেষ আয়া (মাস্ক, ক্যাপ ও গ্লাভস পরিহিত) দিয়ে প্রক্রিয়া করে রোগীদের খাবার সরবরাহ করার ব্যবস্থা হয়েছে।ওখানে সিসি ক্যামেরা থাকায় আমি নিজেই সবকিছু মনিটর করি।
খাবার সরবরাহ কারী ঠিকাদারকে মোটিভেট করে এ
এসব কিছু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের খাবারের পথ্য তালিকার বরাদ্দ থেকেই করা হচ্ছে। সরকারের অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হয়নি। রোগীর স্বজনদেরও কোন খরচ করতে হচ্ছে না।
২০১১ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ প্রতিষ্ঠা করার এতদিন পর আমার এ প্রচেষ্টা সফল হলো। আলহামদুলিল্লাহ।
আইসিইউতে ভর্তি রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও এতদিন পর সেটা বাস্তবায়নে করতে পেরে নিজের কাছে ভালো লাগছে। সরকারি হাসপাতালে রোগী বান্ধব কিছু করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হলেও অসম্ভব নয়।
আপনাদের দোয়া/ প্রার্থনাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হওয়া রোগী এবং এখানে কর্মরত সকল কর্মীবৃন্দ থাকবে, সেটা কামনা করছি।