রাজশাহী মহানগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তেরখাদিয়া ও উপশহর মহল্লার অনেক লাইট পোস্ট দীর্ঘদিন ধরেই অচল ছিল। সন্ধ্যার পরেই এলাকা ডুবে যেত অন্ধকারে। এই অন্ধকারে পথ চলতে হতো এলাকাবাসীকে নানা আশঙ্কা ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে। বছরের পর বছর ধরে এই সমস্যার সমাধানে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল।
তবে সব পরিবর্তন এনেছেন তরুণ সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুল্লাহ আল মাসুম। তিনি নিজের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় বুধবার সারাদিন ধরে তেরখাদিয়া ও উপশহর এলাকার একাধিক লাইট পোস্টে নতুন লাইট বসানোর কাজ সম্পন্ন করেন। তার এই উদ্যম ও কাজের ফলে দুই মহল্লা আবারও আলোকিত হয়ে ওঠে। এলাকা জুড়ে এখন প্রশান্তির আলো, নিরাপত্তার স্বস্তি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন,
“অনেকদিন ধরেই রাস্তায় আলো ছিল না। রাতে বের হওয়াটা ভয়ের ছিল। মাসুম ভাইয়ের চেষ্টায় আবার আলো এসেছে। আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।”
উপশহর এলাকার বাসিন্দা রেহানা আক্তার বলেন,
“মাসুম ভাই শুধু একজন ইঞ্জিনিয়ার না, তিনি আমাদের অভিভাবক। কোনো সমস্যায় আমরা তাঁর কাছে গেলেই সমাধান পাই। ওনার মতো কাউন্সিলর পেলে এলাকাটা বদলে যাবে।”
ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুল্লাহ আল মাসুম শুধু আলো ফেরাননি, বরং মানুষকে নতুন করে আশা দেখিয়েছেন। যদিও তিনি বারবার প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন, মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে, এমনকি কারাবরণও করতে হয়েছে; কিন্তু একবারের জন্যও তিনি থেমে যাননি। সমাজসেবা থেকে পিছু হটেননি। সব বাধা পেরিয়ে মানুষের পাশে থেকেছেন, মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন।
একজন তরুণ, দক্ষ ও সংগ্রামী সমাজসেবক হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার মাসুম ইতোমধ্যে এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে একটি সাধারণ বক্তব্যই উঠে আসে—
“আমাদের কাউন্সিলর হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ আল মাসুমকে চাই।”
ওয়ার্ডের বিভিন্ন বয়সের মানুষ, যুব সমাজ, এমনকি প্রবীণরাও বলছেন, এমন সৎ, সাহসী ও পরিশ্রমী মানুষ নেতৃত্বে এলে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এক নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে।