চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর বাজারে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মোটরসাইকেল পার্কিংকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া এই উত্তেজনা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রূপ নেয়। এরপর সেখানে ককটেল বিস্ফোরণসহ চালানো হয় ভাঙচুর। গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের জেরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষুব্ধরা। যার ফলে দুই পাশে শতাধিক পণ্যবোঝাই ট্রাকসহ নানা যানবাহন আটকে পড়ে। প্রায় আধা ঘণ্টা পর পুলিশের হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় ছত্রাজিতপুর গ্রামের মো. শামসুদ্দিন (ভিখুর) ছেলে সাংবাদিক জুয়েলসহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, ছত্রাজিতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিন্টু আলীর ভাতিজা রাসেলের চায়ের দোকানের সামনে মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে রানীহাটি এলাকার আসমাউল ও সাহেব আলীসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির পর ওই পক্ষ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। কিছুক্ষণ পর তারা দেশীয় অস্ত্রসহ সজ্জিত হয়ে ফিরে এসে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে মিন্টুর অনুসারীরা ধাওয়া করলে প্রতিপক্ষ এলাকা ত্যাগ করে। সূত্র মতে, রানীহাটি এলাকার আসমাউল ও সাহেব আলী শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুল হকের অনুসারী, আর রাসেল ছত্রাজিতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিন্টুর ঘনিষ্ট।
শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া বলেন, মোটরসাইকেল পার্কিং নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।