May 19, 2025, 8:10 am

জাতীয় সংসদে ৬০০ আসন করার সুপারিশ

ঢাকা অফিস :
জাতীয় সংসদে ৬০০ আসন করার সুপারিশ

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বলেছেন, জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ করেছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। যেখানে প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় একটি সাধারণ আসন এবং নারীদের জন্য একটি সংরক্ষিত আসন থাকবে। যেখানে উভয় আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন হবে।

শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এ প্রেস ব্রিফিং করেন তারা।

এর আগে কমিশনের সদস্যরা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রধান উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন। সুপারিশগুলোর মধ্যে আছে–সংসদীয় আসন সংখ্যা ৬০০-তে বৃদ্ধি করা, যেখানে প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় একটি সাধারণ আসন এবং নারীদের জন্য একটি সংরক্ষিত আসন থাকবে। উভয় আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। এই সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করে কমিশন।

এতে বলা হয়, জাতীয় সংসদে উচ্চকক্ষ করার সিদ্ধান্ত হলে ৫০ শতাংশ আসনে আনুপাতিক হারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যে নারী-পুরুষ প্রার্থী দেবেন— তা ‘জিপার’ পদ্ধতিতে মনোনয়ন করবেন। যাতে প্রত্যেক দল থেকে সমান সংখ্যক নারী ও পুরুষ মনোনীত হয়। বাকি ৫০ শতাংশ আসনে নির্দলীয় ভিত্তিতে অন্যান্য গোষ্ঠীর মাঝে ৫টি নারী আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।

এছাড়া জনপরিসরে নারীর ভূমিকার ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক দলের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক চর্চার প্রসার এবং অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা। রাজনীতিতে সামাজিক ও দুর্নীতিবিষয়ক বাধা দূর করতে বিধি প্রনয়ণ করা। আরপিও- তে নারীর অংশগ্রহণ বিষয়ক বিধান পালন বাধ্যতামূলক করা। স্থানীয় সরকার পর্যায়ে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি সাধারণ আসন এবং একটি নারী আসন থাকবে। এই ব্যবস্থা অস্থায়ী বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবে আগামী তিনটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রযোজ্য হবে। নারী সংসদ সদস্যদের নারী সমাজের কাছে জবাবদিহি করার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করারও সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে ‘সংবিধান আইন ও নারীর অধিকার: সমতা ও সুরক্ষার ভিত্তি’, নারীর অগ্রগতির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা ও জাতীয় সংস্থাসমূহ, নারীর স্বার্থ ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় পর্যায়ের উন্নয়ন, নারী ও মেয়ে শিশুর জন্য সহিংসতামুক্ত সমাজ,  ‘জনপরিসরে নারীর ভূমিকা: জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে’,  জন প্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণ, নারীর অগ্রগতির জন্য শিক্ষা, প্রযুক্তি ও দক্ষতাবৃদ্ধি, সব বয়সী নারীর জন্য সুস্বাস্থ্য, অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ ও সম্পদের অধিকার,  শ্রম ও কর্মসংস্থান, নারী শ্রমিকের নিরাপদ অভিবাসন,  দারিদ্র্য হ্রাসে টেকসই সামাজিক সুরক্ষা  গণমাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণ, চিত্রায়ন ও প্রকাশ , ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে নারীর অর্ন্তভুক্তি ও বিকাশ এবং দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনে নারী বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com