April 22, 2025, 1:03 am
শিরোনাম :
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত জাতীয়ভাবে ন্যূনতম মজুরি ও শ্রম আইনকে ‘সার্বজনীন’ করার সুপারিশ প্রশাসন বিএনপির নিয়ন্ত্রণে— ‘অভিযোগকারী কি উপদেষ্টা থাকাকালে তাদের বসিয়েছেন?’ স্বর্ণের ভরি ছাড়ালো ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা হৃদয়কে খেলাতে ডিপিএলের নিয়মই বদলে ফেললো বিসিবি! পুঠিয়ায় আ’গুনে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই, ৫ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলা, ২৩ শিক্ষককে অব্যাহতি সমাজ থেকে বিভেদ দূর করতে একসাথে কাজ করার আহ্বান’ পারভেজ হত্যায় গ্রেফতার ৩ জনের ৭ দিনের রিমান্ড

রাজশাহীতে বর্ষবরণ উৎসবে মেতে বাঙালি সংস্কৃতিতে মুগ্ধ বিদেশিরা

স্টাফ রিপোর্টার :
রাজশাহীতে বর্ষবরণ উৎসবে মেতে বাঙালি সংস্কৃতিতে মুগ্ধ বিদেশিরা

নারী-পুরুষ মিলিয়ে দলটা বেশ বড়। সবাই চীনের নাগরিক। বাংলা নববর্ষের আয়োজনে সোমবার সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা চত্বরে তারা ঘুরছিলেন। গোদাগাড়ীতে তারা রাজশাহী ওয়াসার সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে কাজ করছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চীনের হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি। সেখান থেকেই আসেন নববর্ষের আয়োজনে।

সকাল ৯টার দিকে উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হওয়া আনন্দ শোভাযাত্রায় শুরু থেকেই চীনা নাগরিকরা মেতে ওঠেন। কেউ আদিবাসীদের সঙ্গে নাচছিলেন, কেউ বা তুলছিলেন ছবি, কেউ করছিলেন ভিডিও। কারও হাতে তালপাতার হাতপাখা, কেউ মেলায় ঘুরছিলেন তাদের প্রতিষ্ঠানের স্টলের আশপাশে। এ দলের সঙ্গে ছিলেন ওয়াসার প্রজেক্টের ডেপুটি ম্যানেজার ইয়াসির আরাফাত।

তিনি জানান, চীনের এই কর্মীরা নববর্ষের উৎসব দেখতে বেশ আগ্রহ নিয়ে এসেছেন।

ওয়াসা প্রজেক্টের পরিচালক মি. জু বলেন, এই উৎসব অনেক প্রাণবন্ত। বাংলাদেশের মানুষ খুব বন্ধুপ্রতিম ও অতিথিপরায়ণ। চীনেও নববর্ষ উদযাপন করা হয়, তবে সেখানে আতশবাজির ব্যবহার বেশি। দুই দেশের নববর্ষে মানুষের অংশগ্রহণ থাকলেও রীতি-নীতিতে পার্থক্য রয়েছে।

গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল ইসলাম বলেন, চায়নারা বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকেই এই আয়োজন দেখতে এসেছেন।

তিনি জানান, লোকশিল্প, সাংস্কৃতিক চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ ধরে রাখাই আনন্দ শোভাযাত্রার লক্ষ্য। প্রতীকী মুখোশ, গ্রামীণ জীবনের অনুষঙ্গ ও বাংলার লোকজ উপকরণে সাজানো হয় এই শোভাযাত্রা।

জানা গেছে, চীনের এই নাগরিকেরা গত দুই বছর ধরে গোদাগাড়ীতে কাজ করছেন। শুরু থেকেই বাংলা নববর্ষের প্রতি তাদের কৌতূহল ছিল। এবার তারা নিজের চোখে দেখলেন পহেলা বৈশাখের উৎসব। আনন্দ শোভাযাত্রা চলাকালে দেখা যায়, কেউ আদিবাসীদের সঙ্গে নাচছেন, কেউ তাদের ঢাক-ঢোল ও একতারার তালে ভিডিও করছেন।

একজন চীনা নাগরিক জানান, এ আয়োজন তাদের অভিভূত করেছে। এতে তারা বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, পয়লা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই উৎসবের মূল চেতনা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন। এবার একদল বিদেশিও অংশ নিয়েছেন, যা আমাদের সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার পথে একধাপ এগিয়ে দিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com