বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে দেশের সকল কারাগারের মতো রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারেও বন্দিদের জন্য ছিল দিনব্যাপী বিশেষ আয়োজন। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে বিশেষ খাবারের পাশাপাশি আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এই কারাগারে মোট ২,৫০০ জন বন্দি রয়েছেন। বৈশাখের সকাল শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে, যেখানে কারাবন্দি কয়েদি ও হাজতি শিল্পীরা গান, কবিতা ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন। তাদের উপস্থাপনায় কারাগারের আঙিনা এক উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত হয়।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পর বন্দিদের জন্য পরিবেশন করা হয় ঐতিহ্যবাহী পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ ও আলু ভর্তা। দুপুরে ছিল পোলাও, মুরগির মাংস, বুটের ডাল ও মিষ্টি পান। বিকেলে পরিবেশিত হয় সাদা ভাত, আলুর দম ও মিশ্র সবজি।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান বলেন,
“নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বন্দিরাও আমাদের সমাজের অংশ। তাদের মানসিক প্রশান্তি ও সংস্কৃতির সঙ্গে সংযুক্ত রাখতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে। কারা মহাপরিদর্শকের নির্দেশে দেশের প্রতিটি কারাগারে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিশেষ খাবার ও অনুষ্ঠানমালার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই আয়োজন বন্দিদের মনে আনন্দ আনে, যা তাদের আত্মশুদ্ধি ও সংশোধনের পথে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।”
বন্দিরা এই আয়োজন পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। পহেলা বৈশাখে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দেশের কারা ব্যবস্থাপনায় মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।