র্যাব৫ এর একটি অভিযানিক দল রোববার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় নগরীর বোয়ালিয়া থানার বড়কুঠি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজসহ সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মূলহোতা তেরখাদিয়ার মৃত শফিউল ওরফে শরিফুল ইসলামের ছেলে আবির হোসেন জয় (২৬) এবং মাজদার আলীর ছেলে ইমন শাহারিয়া (২২) গ্রেফতার করেছে। খবর বিজ্ঞপ্তির।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম নান্টু মোল্লা (২৭), সোহাগ (২২) ও সুজন (৩০) পেশায় অটোরিক্সা চালক। তারা প্রায় ৫-৬ বছর যাবত এ পেশায় নিয়োজিত আছেন। ভিকটিমগণ গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলায়। তারা নগরীর তেরখাদিয়া নামক এলাকায় অবস্থিত গ্যারেজে আশ্রয় নিয়ে কাজ করে আসছেন। ওই এলাকায় বিভিন্ন সময়ে ধৃত আসামীদ্বয় সহ একটি গ্রুপ নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছিল। ভিকটিমগণের বাড়ি দূরবর্তী জেলায় হওয়ায় আসামীগণ তাদের নিকট বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করে।
রোববার আসামীদ্বয় সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আসামী ভিকটিমদের অটোরিক্সা গতিরোধ করে নগদ ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে এবং মাসিক ১০ হাজার টাকা ও দৈনিক ১০০ হারে চাঁদা দেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি-অপারগতা জানালে আসামীরা এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় দিতে থাকে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রাণনাশের ভয়-ভীতি দেখায়।
র্যাবের একটি আভিযানিক দল বড়কুঠি ‘ল’ কলেজের সামনে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই, চাদাবাজি সহ সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মূল হোতা জয় ও মহানগরীর তেরখাদিয়া এলাকা কথিত ‘ইমন গ্যাং’ চাঁদাবাজ দলের নেতা ইমন‘কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত চাঁদাবাজ সদস্যের উভয়ের নামেই একাধিক মাদক ও ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। তারা সকলেই নগরীর স্থানীয় অপরাধ চক্রের সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত। তারা বিভিন্ন সময়ে অনেক ভুক্তভোগী মূলত রিক্সা, অটোরিক্সা ও ভ্যান চালকের নিকট দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবী ও চাঁদা আদায় করে আসছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার করতে র্যাব-৫ এর এই আভিযানিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় চাঁদাবাজি আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।