July 13, 2025, 10:51 am
শিরোনাম :
“সাবেক দূতাবাস কর্মকর্তা লেদার অস্বচ্ছ দৌরাত্ম্যে উত্তাল রাজশাহী”-শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ অসুস্থ ফরিদা পারভীনের খোঁজ নিলেন বেগম খালেদা জিয়া তানোরে মুরগির বিষ্ঠা ফেলার সময় গ্রামবাসীর হাতে ২টি ড্রাম ট্রাক আটক জামিনে মুক্তি পেলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সেই বিএনপি নেত্রী বাঘায় খেয়া ঘাটে গভীর রাতে গুলি ছুড়ে স্পিডবোট ভাঙচুর, ইঞ্জিন খুলে নেয়ার অভিযোগ রাজশাহীতে জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাবি উপাচার্যের সঙ্গে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতির সাক্ষাৎ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে রাজশাহীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত মন্ডুমালায় জমি দখল কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা, সংঘর্ষের আশঙ্কা ‘আমাদের গল্প এখন বিশ্বজুড়ে শোনা যাচ্ছে’

রাজশাহীতে ট্রাক ট্রায়ালের নামে কৌশলে প্রতারণা, থানায় অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
রাজশাহীতে ট্রাক ট্রায়ালের নামে কৌশলে প্রতারণা, থানায় অভিযোগ

রাজশাহীর টুলটুলি পাড়া হাড়ুপুর এলাকার মোঃ ইউসুফ আলির ছেলে মোঃ ইসা ট্রায়ালের নামে একটি ট্রাক কৌশলে নিয়ে গিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ দুপুর ২টার দিকে টাটা ১১০৯ মডেলের একটি ট্রাক ট্রায়ালের কথা বলে মোঃ ইসা সেটি নিয়ে যান। দীর্ঘ সময়েও ট্রাকটি ফিরিয়ে না দেওয়ায় সন্দেহ হলে ট্রাক মালিক মোঃ জসিম ও তার পিতা মোঃ লুথফার রহমান মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ট্রাকের অবস্থান শনাক্ত করেন। পরে কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে আমিন পাম্পের কাছে ট্রাকসহ চালককে আটক করেন তারা। এসময় ট্রাক থেকে ১ হাজার ৫০ কেজি গম উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন লুথফার রহমান। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইসা ট্রাক ট্রায়ালের নামে নিয়ে গিয়ে আর ফেরত দেননি। সাত দিন পর ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ট্রাকটি খুঁজে পায় মালিকপক্ষ।

জানা যায়, ঢাকার একটি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মাধ্যমে ১৫ হাজার ৬১০ কেজি গমের চালান নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ট্রাকটি রওনা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর মধ্যে গমের একটি অংশ (১ হাজার ৫০ কেজি) উদ্ধার করা হলেও বাকি গম সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় যুবদল নেতা ফরিদুল ইসলাম ও সাহেব আলির উপস্থিতিতে ট্রাকে থাকা গমের একটি অংশ ৩৩ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হয় এবং মোট ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা সাহেব আলির মাধ্যমে ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিকে পরিশোধ করা হয়। এসময় সাহেব আলি ও ইসার বাবা ইউসুফ আলি বাড়ি বিক্রি করে টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন এবং উভয় পক্ষের স্বাক্ষরে একটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে একাধিক সালিশ বৈঠক হলেও কোনো সমাধান না হওয়ায় এবং হুমকি পাওয়ার কারণে অবশেষে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করা হয়।

কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আঃ বারি জানান, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ