লাল-সবুজের বাংলাদেশ। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের এই ব-দ্বীপে ফুটবলের প্রতি যে ভালোবাসা, তা বুঝতে রকেট সায়েন্স জানার খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না। এখানে দৃশ্যমান রয়েছে ফুটবলীয় আবেগ, বিশ্বকাপ এলেই যার প্রতিফলন দেখা যায় রাস্তায় প্রতিটি দেয়ালে কিংবা মুক্ত আকাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা বড় কোনো গাছের মগডালে পতপত করে উড়তে থাকা ফুটবল বিশ্বের জায়ান্ট দেশগুলোর পতাকা। এখানে এলে যে কেউ বুঝে যাবে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা কাকে বলে। শোনা যাবে হাজার কিলোমিটার দূরের ল্যাটিন আমেরিকা কিংবা ইউরোপের কোনো দেশের সঙ্গে এদেশের মানুষের সফল প্রেমের গল্প।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা কিংবা জার্মানি-স্পেন, রোনালদো কিংবা মেসি নিয়ে বন্ধু মহলে তর্কের প্রতিযোগিতা। যে যাকে ভালোবাসে সে তাকে মন উজাড় করেই বাসে, যেখানে থাকে না কোনো শর্ত। তাইতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে ‘ভামোস আর্জেন্টিনা’, ‘গ্রান্দে ব্রাজিল’ চিৎকার যখন পৌঁছে যায় বুয়েন্স এইরেস হয়ে সাও পাওলোতে।
স্বভাবতই প্রশ্ন প্রশ্ন ওঠে, এদেশের পাগল ফুটবল ভক্তরা কতটা উচ্ছাসে মাতবে, যদি লাল সবুজের পতাকা কোনোদিন ওড়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে? বাঁধভাঙা উল্লাসে তারা আর কী কী করবে যদি সত্যিই এমন দিন আসে— প্রশ্ন থেকেই যায়।
ভবিষ্যতের সেসব অনিশ্চয়তা তোলা থাক ভাগ্য বিধাতার পান্ডুলিপিতে। এই ব-দ্বীপের মুখ ফেরানো ফুটবলে নব জোয়ার নিয়ে এবার এলো হামজা চৌধুরী।