July 13, 2025, 11:01 am
শিরোনাম :
“সাবেক দূতাবাস কর্মকর্তা লেদার অস্বচ্ছ দৌরাত্ম্যে উত্তাল রাজশাহী”-শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ অসুস্থ ফরিদা পারভীনের খোঁজ নিলেন বেগম খালেদা জিয়া তানোরে মুরগির বিষ্ঠা ফেলার সময় গ্রামবাসীর হাতে ২টি ড্রাম ট্রাক আটক জামিনে মুক্তি পেলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সেই বিএনপি নেত্রী বাঘায় খেয়া ঘাটে গভীর রাতে গুলি ছুড়ে স্পিডবোট ভাঙচুর, ইঞ্জিন খুলে নেয়ার অভিযোগ রাজশাহীতে জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাবি উপাচার্যের সঙ্গে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতির সাক্ষাৎ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে রাজশাহীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত মন্ডুমালায় জমি দখল কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা, সংঘর্ষের আশঙ্কা ‘আমাদের গল্প এখন বিশ্বজুড়ে শোনা যাচ্ছে’

পুঠিয়ায় ঈদের কেনাকাটা ও মাংস কিনতে পারেনি ৮ হাজার পরিবার !

স্টাফ রিপোর্টার :
পুঠিয়ায় ঈদের কেনাকাটা ও মাংস কিনতে পারেনি ৮ হাজার পরিবার !

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় বিধবা ও প্রতিবন্ধী সরকারি ভাতাভোগীদের কাউকেই দেওয়া হয় নি ভাতার টাকা। ফলে প্রায় ৮ হাজার টি পরিবারের ঈদের আনন্দ সরাসরি বঞ্চিত। সরকারি ভাতাভোগীদের অধিকাংশরা মূলত ওই ভাতার টাকার উপর নির্ভরশীল। এদের মধ্যে যারা ভাতা পান তারা হলেন, স্বামী পরিত্যক্তা, কারো স্বামী মারা গেছেন, বৃদ্ধা, আর শারীরিকভাবে অক্ষম প্রতিবন্ধীরা রয়েছেন। ঈদের আগে ভাতার টাকা না পাওয়ায় কষ্টে কেটেছে তাদের আনন্দের ঈদ। উপজেলাটিতে বিধবা ভাতাভোগীর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৮ শত ৪৪ জন আর প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৩ জনের মতো।

 

যেসব বিধবা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ভাতা পেতেন তাদের বাসায় গিয়ে সরেজমিনে  দেখা গেছে অন্যরকম কিছু চিত্র। কারো বাসায় কিনতে পারেনি চাল-ডাল, আবার কেউ কিনতে পারেনি লাচ্ছা সেমাই, কেউ দেখতেই the পায়নি মাছ-মাংস। আবার অনেকে কিনতে পারেনি নতুন জামা-কাপড়। এদের কেউ কেউ আফসোস প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

 

টাকা না পাওয়া একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুর রশিদ তিনি বলেন, আমার কাছে কিছু টাকা ছিল সেটা দিয়ে আমার ছোট দুই বাচ্চাকে জামা কিনে দিয়েছি। আমি কিছুই কিনতে পারিনি। আশা ছিল অন্তত ঈদের দিন রাতে হলেও টাকা পাব। কিন্তু ওই টাকা না পাওয়ায় আমি এক ছটাক মাংস বাসায় কিনে দিতে পারেনি। মনের ভিতর খুব কষ্ট লাগছে। এমন ঈদ অতীতে কোনদিন কাটেনি।

 

কান্না জড়িত কন্ঠে দুই প্রতিবন্ধী নাসরিন ও রাশেদুলের মাতা রাশেদা বেগম বলেন, আমার দুই পাগলের জন্য কোনো নতুন জামাকাপড় কিনে দিতে পারেনি। এমনকি লাচ্ছা সেমাই আর একটু মাংসের ব্যবস্থা করে দিতে পারিনি। টাকা পেলে চাল ডাল, তরিতরকারি কিনে ঈদটা আনন্দে কাটাতে পারতাম। গরিবের জন্য ঈদ না।

 

সত্য বালা নামের একজন ভাতা ভোগী তিনি বলেন ওই টাকা পেলে আমি চাল কিনে বাজার সদাই করে খাই। অনেক আশা ছিল ঈদের আগে টাকা আসবে কিন্তু সেই টাকা আর আসলো না। একটু কষ্টই লাগছে।

 

এসব বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ রবিউল করিম জানান, আমি মনে করেছিলাম ঈদের আগে সবাই ভাতার টাকা পেয়ে গেছে। আমরা পেরোল পাঠিয়েছি। কাল আরো বিস্তারিত জানাতে পারবো।

 

এসব বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ন আহবায়ক ফিরোজ আলী বলেন, ঘটনাটি শুনে খুব খারাপ লেগেছে। ঈদের আগে গরিব মানুষের ওই টাকাগুলো দেয়া উচিত ছিল।

 

এ বিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরা খাতুন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে পুরো রাজশাহী জেলার জন্য পেরোল পাঠানো হয়েছে। কেন টাকা পায়নি সেটা জানি না তবে খুব দ্রুত তারা টাকা পেয়ে যাবেন। এই সপ্তাহ না হলে সামনের সপ্তাহের মধ্যে ইনশাল্লাহ টাকা পেয়ে যাবেন তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ