একটি প্রতিষ্ঠান কিভাবে একটি এলাকার চিত্র বদলিয়ে দিয়ে দিতে পারে তার জলজ্যান্ত উদাহরণ রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র সাফিনাপার্ক।
সীমান্তবর্তী এলাকা রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানা সারাদেশে যার পরিচিতি মাদক প্রবল এলাকা হিসাবে। সেই মাদক প্রবণ এলাকা এখন সারাদেশে পরিচিতি পাচ্ছে সাফিনা পার্কের নামে।
গোদাগাড়ী উপজেলার বালিয়াঘাটা এলাকার দুই সহোদর ফজলুর রহমান ও সাইফুল ইসলাম ২০১২ সালে উপজেলার দিগ্রাম এলাকায় নিজেদের প্রায় ৩২ বিঘা জমিতে সাফিনা পার্ক নামে একটি পিকনিক স্পট গড়ে তোলেন যেটা আজকে প্রায় ৪০ বিঘা জমির উপরে অবস্থিত।
নতুন বিনোদন আয়োজনে সাজানো পার্কটি সব বয়সী দর্শনার্থীদের কাছে চিত্ত বিনোদন ও পিকনিক স্পট হিসেবে প্রায় সারাদেশে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
নানান রকম রাইড,ফুল, ফল ও ঔষধি গাছ দিয়ে ঘেরা পার্কের ভিতর রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা কৃত্রিম উপায় তৈরিকৃত বিভিন্ন পশু পাখির আকর্ষণীয় ভাস্কর্য শিশুদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রাইড ও কিডস জোন।
যে কোন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সাফিনা পার্কে রয়েছে পিকনিক স্পট কনফারেন্স রুম মঞ্চের ব্যবস্থা ও দর্শনার্থীদের কেনাকাটার সুবিধার্থে পার্কের অভ্যন্তরে একটি মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। সাথে রাত্রি যাপনের জন্য করা হয়েছে সুন্দর সুন্দর রিসোর্টের ব্যবস্থা।
এখনো চলমান রয়েছে বিভিন্ন রকম উন্নয়ন কাজ। পার্কটি গোদাগাড়ীতে আশীর্বাদস্বরূপ তৈরি হয়েছে বলছেন স্থানীয়রা, যেখানে শতশত বেকার যুবকের তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান। রাজশাহী শহর থেকে স্থানীয় বিভিন্ন পরিবহনে যেমন বাস সিএনজি বা অটো রিক্সায় চড়ে গোদাগাড়ী জিরো পয়েন্ট হতে ৯ কিলোমিটার দূরত্ব অবস্থিত সাফিনা পার্কটিতে আসতে পারেন দর্শনার্থীরা।
গ্রামীন পরিবেশে এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে গিয়ে মাঝে মধ্যে ত্রুটি বিচ্যুতি ঘটে যেটিকে কাজে লাগিয়ে একটি স্বার্থনেষী মহল বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।
অপারেশন ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে গিয়ে মাঝেমধ্যে ছোটখাটো কিছু সমস্যা হয় যেগুলো আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ আমাদের স্টাফদের সহযোগিতায় সমাধানের চেষ্টা করে থাকি সার্বক্ষণিক নজরদারি সহ সব রকম নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করি এবং আশা করি আগামী দিনের গোদাগাড়ীর এই শাফিনা পার্ক সবার শীর্ষে এগিয়ে যাবে।