নির্বাচন নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে একমত হয়েছে ৫২টি রাজনৈতিক দল।
নির্বাচন দাবি ও প্রস্তুতি
দলগুলোর নেতারা জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে রাজপথে আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। এজন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার দাবি করেছে দলগুলো। বিএনপি ও মিত্রদের সঙ্গে এ বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপিসহ নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ৫২টি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দিন-তারিখসহ একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায় এসব দল। তবে জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দলের ভূমিকা নিয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সরকারের বক্তব্য ও রাজনৈতিক অস্থিরতা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, নির্বাচন পিছিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না। বিএনপি জনগণের স্বার্থে আবার মাঠে নামতে প্রস্তুত।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, দ্রুত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা এখন সব দলের দাবি। সরকারের উচিত হবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সন্দেহ ও অনাস্থা যাতে তৈরি না হয়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
অন্যান্য দলের মতামত
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সংস্কার শেষ করে অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ও রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত। অহেতুক বিলম্ব না করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা উচিত।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘কবে নির্বাচন হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানানো হলে সংশয় কেটে যেত।’
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘দ্রুত নির্বাচন না হলে নতুন সংকট সৃষ্টি হবে। সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ না দিলে আন্দোলনে নামার কথা ভাবছে জোট।’
গণতন্ত্র মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সরকারের উচিত অনাস্থা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া। রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে প্রয়োজনে রাজপথে নামতে হবে।’