রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের ‘কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা)’ প্রকল্পে শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটার বাধ্যবাধকতা থাকলে বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই। এস্কেভেটর (স্থানীয়ভাবে ভেকু নামে পরিচিত) মেশিন দিয়ে সস্তায় মাটি কাটার বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারের গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, রিশিকুল ইউনিয়নের মান্ডইল আস্তাপুকুর পাঁকা রাস্তা হতে আদারপাড়া পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এতে ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে। এই প্রকল্পের সভাপতি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড সদস্য আলেয়া বেগম। সে নিয়ম না মেনে প্রকল্পের টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকাতে এস্কেভেটর মেশিন ব্যবহার করে কাজ তড়িঘড়ি করে শেষ করতে চাইছে। এতে করে সরকারের আসল উদ্দেশ্য হাসিল হবে না। তাই এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করেন এই ইউনিয়নে যত কাজ হচ্ছে প্রায় সবগুলো কাজে অনিয়ম হচ্ছে। এসব কাজগুলো প্রকল্প অফিস হতে কঠোর নজদারি করা প্রয়োজন।
কাজের অনিয়মের বিষয়ে নারী ইউপি সদস্য আলেয়া বেগমের সাথে মুঠোফেনে যোগাযোগ করা হলে থামেন পরে কথা বলছি বলে দ্রুত ফোনটি কেটে দেন।
এবিষেয় গোদাগাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার এ, কে, এম মমিনুল হক বলেন, উপজেলায় আমি একমাত্র অফিসার, আর কেউ নাই। আমি ঈদের পর যাব, আপাতত কাজ বন্ধ থাকবে। এসব কাজ দেখাশোনার জন্য একটি কমিটি রয়েছে তারা কি করে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, হ্যাঁ, উপজেলার সকল দপ্তরের অফিসার দিয়ে একটা কমিটি আছে,
তারা তাদের কাজ করে।