স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে এসেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। ১৯৭১ সালে আমরা কেবল ভৌগোলিক স্বাধীনতা অর্জন করিনি, বরং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্যও লড়াই করেছি। কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কি আজও নিশ্চিত হয়েছে?
বাংলাদেশের গণমাধ্যম আজ বহুমাত্রিক ও গতিশীল। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। তবে এর পাশাপাশি স্বাধীন মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাও রয়ে গেছে। সাংবাদিকরা প্রায়ই হয়রানি, নির্যাতন এবং মামলার শিকার হচ্ছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা আইনি কাঠামো কখনো কখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
একটি স্বাধীন গণমাধ্যম মানেই কেবল সংবাদ প্রকাশের সুযোগ নয়; এটি ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কথা বলা, দুর্নীতির মুখোশ উন্মোচন এবং জনমানুষের কণ্ঠস্বর তুলে ধরা। কিন্তু ভয়, চাপ এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের সংস্কৃতি আজও গণমাধ্যমকে পুরোপুরি স্বাধীন হতে দেয়নি।
তবে আশার আলোও আছে। প্রযুক্তির অগ্রযাত্রা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিকাশ নাগরিকদের মতপ্রকাশের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্ত সাংবাদিকতার চর্চা দিন দিন বাড়ছে।
সত্যিকারের স্বাধীনতা তখনই নিশ্চিত হবে, যখন সাংবাদিকরা ভয়ভীতি ছাড়াই নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করতে পারবেন। এজন্য দরকার গণমাধ্যমের সুরক্ষা, আইনের শাসন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে, আসুন আমরা গণমাধ্যমের প্রকৃত স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই।
মোঃ নুরে ইসলাম মিলন
সভাপতি
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, রাজশাহী বিভাগ।