পবা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে জাতির বীর শহীদদের আত্মদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। এর মধ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার ফুলে ভরে উঠেছে- পবা উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনার। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লড়াইটা শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ৮টায় নওহাটা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। এরপর বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ।
এসময় বিআরডিবি কর্মকর্তা শামসুন্নাহার ও জাইকার উপজেলা কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদ হাসান, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক সরকার রাহনুমা আফরোজ, পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, এলজিইডি প্রকৌশলী মকবুল হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আবু বাশির, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার সরকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এমএনএম জুহুরুল হক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন, পাট কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফাসহ বিভিন্ন দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লড়াইটা শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। সেই দিন একাত্তরের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালি জাতির ওপর হামলে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। কিন্তু বাঙালি জাতি সর্বশক্তি দিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনা করে। ৯ মাসের ধারাবাহিক রক্তক্ষয়ী লড়াই, অকাতরে আত্মদান এবং বীরত্বের স্বাক্ষর রেখে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।