রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ২৬ শে মার্চের তোপধ্বনি, ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ শেষে উপজেলা অডিটরিয়ামে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত আলোচনা সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা গেছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার ষ্টেজে বসাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা আযহার আলী প্রতিবাদ করেন। তাঁর মতে, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কমিটি যেহেতু বিলুপ্ত হয়েছে সেহেতু কেউ স্টেজে থাকবে না। প্রশাসক হিসেবে ইউএনও যা করবেন তাই তিনি মেনে নেবেন। প্রতিবাদের এক মুহুর্তে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ মুক্তিযোদ্ধা আযহারকে নিয়ে বাইরে চলে যান। বোঝাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় বিষয়টি দেখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এ অবস্থায় আযহার বলেন, ইউএনও সাহেব আপনি সভা সমাপ্ত করেন।
ঐসময় মুক্তিযোদ্ধা আযহার অভিযোগ করেন বিগত ৭ বছর আগে মুক্তিযোদ্ধাদের কমিটি বিলুপ্ত হয়। কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছেন ইউএনও, তাই তিনিই ষ্টেজে থাকবেন অন্য কোন মুক্তিযোদ্ধা ষ্টেজে থাকতে পারবে না। প্রতিবাদ করায় ষ্টেজ থেকে নেমে যান সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মনিউর রহমান ও অশোক কুমার চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ শামসুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুনসুর রহমান, কৃষি অফিসার মরিয়ম আহমেদ, সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা অহিদুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আল মামুন প্রমুখ।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ দিলদার হোসেন মৃত্যু বরণ করায় সহকারি কমান্ডার অশোক কুমার চৌধুরী কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। বর্তমানে কোন সক্রিয় কমিটি না থাকায় কেউই কমান্ডারের পরিচয় দিয়ে সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে না মর্মে জানান আযহার আলী। তিনিসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি তারাই আজ কমান্ডার ও নেতাগিরি করছে। এটা আমরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাগণ কোনক্রমেই চাইনা।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা অশোক চৌধুরী বলেন, এটা নিয়ে কিছু করার দরকার নেই। এটা ঠিক হয়ে গেছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন কোন কিছু সমস্যা হয়নি। নিউজ করছেন নাকি এটা নিয়ে কন্টেন্টটা কি লিখছেন, শিরোনামটি শুনালে তিনি বলেন আচ্ছা ঠিক আছে।