June 13, 2025, 10:35 pm
শিরোনাম :
রাজশাহীতে হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার ডেঙ্গুতে এক দিনে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৫৯ রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা রাজশাহীতে বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন-বিক্ষোভ বাগমারায় বারনই নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার ভারতে বিমান দুর্ঘটনা, মরদেহ বুঝে নিতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন স্বজনরা বিদেশিনীর সঙ্গে শিল্পার ঝগড়ার ভিডিও ভাইরাল, জানা গেলো কারণ আমে এবার ‘ঢলন’ প্রথা বাতিল, কেজি প্রতি কমিশন দেশের সংকট নিরসনে ওয়ান টু ওয়ান মিটিং এর দিকে জাতি তাকিয়ে : বিএনপি নেতা মিলন ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দুপুরে

বদলির পরও যাচ্ছিলেন না বিএমডিএ ইডি, বের করা হলো জোর করে

স্টাফ রিপোর্টার :

বদলির পরও দপ্তর ছাড়ছিলেন না বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালক (ইডি) শফিকুল ইসলাম। তাই সংস্থাটির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী তাকে জোর করেই দপ্তর ছাড়তে বাধ্য করেছেন। রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে বিএমডিএর প্রধান কার্যালয়ে ঘটে এমন ঘটনা।

শফিকুল ইসলাম সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিব। গত বছরের জুলাইয়ে তাকে বিএমডিএর ইডি হিসেবে পদায়ন করা হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে তাকে রাজশাহীতে অবস্থিত বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক হিসেবে পদায়ন করা হয়। তবে সেখানে না গিয়ে একমাস ধরে বিএমডিএতেই ছিলেন তিনি।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, বিগত সরকারের সময় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের সুপারিশে তিনি বিএমডিএর ইডি হয়েছিলেন। তিনি এখনও আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানা সুবিধা দিয়ে যাচ্ছিলেন। বদলির আদেশের পরও তিনি নাজিরুল ইসলাম নামের একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে বিএমডিএর রাজশাহী জোনের প্রধান করে পদায়ন করেন।

নাজিরুল ইসলাম ২৫১ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকার দুটি প্রকল্পের পরিচালক (পিডি)। আওয়ামীপন্থী এই কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই দুই প্রকল্পের পিডি হন। ইডির বদলির আদেশের পরও তিনি নতুন কর্মস্থলে না গিয়ে নাজিরুল ইসলামকে জোনের প্রধান করে পদায়ন করলে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দুপুরে ইডি তার কার্যালয়ে ছিলেন। তখন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও সেচ শাখার প্রধান জাহাঙ্গীর আলম খানসহ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী তার দপ্তরে যান। তারা রোববারের মধ্যেই দপ্তর ছেড়ে তাকে রেশম বোর্ডে গিয়ে যোগদান করতে বলেন। এ সময় তাদের সঙ্গে শফিকুল ইসলামের তর্কবিতর্ক হয়। দু’একজন তাকে চেয়ার থেকে ওঠাতেও এগিয়ে যান। তখন শফিকুল ইসলাম দায়িত্ব ছাড়তে রাজি হন। পরে তিনি জাহাঙ্গীর আলম খানকে দায়িত্ব অর্পণ করেন। দায়িত্ব অর্পণ ও গ্রহণ সংক্রান্ত এক নথিতে শফিকুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম খান স্বাক্ষর করেন। পরে শফিকুল ইসলাম বেরিয়ে পড়লে তার চেয়ারে বসেন জাহাঙ্গীর আলম খান। আরও দুজন জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে টপকেই তিনি এই চেয়ারে বসে পড়েন।

দুপুরে ইডির দপ্তরে গিয়ে জাহাঙ্গীর আলম খানকে চেয়ারে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তবে অফিস আদেশ জারি হয়নি। এটা হয়ে যাবে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শফিকুল ইসলামের মোবাইলে কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি ধরেন নি। পরে আবার ফোন করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ দিন দপ্তরে ছিলেন না বিএমডিএর চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান। তার ব্যক্তিগত সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘শফিকুল ইসলাম বিএমডিএর কর্মকর্তা না। তাকে অন্য দপ্তর থেকে সরকার এখানে পদায়ন করেছিল। তিনি বদলির আদেশের পরও একমাস ধরে দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তার বদলির আদেশের পরও তিনি জোন প্রধান করার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইলে সই করেন। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। তারা সবাই গিয়ে তাকে আজই দপ্তর ছাড়তে অনুরোধ করলে তিনি সে কথা রাখেন।’

অফিস আদেশের আগেই জাহাঙ্গীর আলম খান ইডির চেয়ার দখল করলেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা দখল না। কাউকে না কাউকে তো দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি বিএমডিএর নিজস্ব কর্মকর্তা। এ পদে বাইরের কর্মকর্তা না থেকে নিজেদের কর্মকর্তা থাকলে কাজ ভাল হয়।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ