রাজশাহীর তানোরে পরিবেশ দুষণ ও জীববৈচিত্র্য হুমকিতে ফেলে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর সদরের সাদিপুর মহল্লায় প্রায় ১০ বিঘা আয়তনের এই পুকুর ভরাট করা হচ্ছে।মেসার্স আনাম পেট্রোল পাম্পের স্বত্ত্বাধিকারী প্রভাবশালী খাইরুল আনাম এই পুকুর ভরাট করছে।পুকুর ভরাটে অভিনব কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে একেবারে পুকুর ভরাট না করে দু’একদিন পর পর রাঁতের আঁধারে পুকুরে মাটি ফেলা হচ্ছে। বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) তেলোপাড়া এলাকার ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে।
গত কয়েকদিন যাবত বহিরাগত লাঠিয়াল বাহিনীর পাহারা বসিয়ে প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত পুকুরে মাটি ফেলা হচ্ছে। তবে গত ১৯ মার্চ বুধবার রাতে স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।এতে উপজেলা প্রশাসন পুকুর ভরাট বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আমির হোসেন আমিন ও নাহিদ হাসান বলেন, এই মহল্লার একমাত্র জলাশয় (পুকুর) এটা ভরাট করা হলে প্রায় শতাধিক পরিবার চরম বিপাকে পড়বে।বিশেষ করে কৃষক পরিবার যারা গৃহস্থালি কাজের পাশাপাশি এই পুকুরে গরু-মহিষ গোসল করায়।এছাড়াও পুকুর ভরাট হলে মহল্লা মরুভূমি রুপ নিবে।এতে পরিবেশের ওপর বিরুপ প্রভাব ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে। প্রশাসনকে অবজ্ঞা বা চ্যালেঞ্জ করে পুকুরে যে পরিমাণ মাটি ফেলা হয়েছে, সেই মাটি তারা দ্রুত অসারণের দাবি করেছেন। তারা বলেন,প্রশাসনের উচিৎ দ্রুত এসব মাটি অপসারণ করে আইন সবার জন্য সমান সেটা দেখিয়ে দেয়া।
এ বিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিয়াকত সালমান বলেন , মুক্ত জলাশয় উদ্ধার করা না গেলে পরিবেশের চরম বিপর্যয় ঘটবে। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য সব জেনে বুঝেও তারা এমন কাজ করেছে, তাই পুকুরের এসব মাটি দ্রুত অপসারণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বলেন, ‘জমির শ্রেণি কী, সেটা না দেখে কিছু বলা যাবে না। তবে পুকুর হলে সেটা ভরাটের কোনো সুযোগ নেই। সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এবিষয়ে জানতে চাইলে খাইরুল আনাম বলেন,পুকুর নয় পুকুরের কিছু অংশ (পুকুর পাড়) ভরাট করা হয়েছে।তিনি বলেন,পুকুর খনন করা যাবে না,আবার ভরাট করা যাবে না এটা কেমন কথা।