February 11, 2025, 2:04 am

রাজশাহীতে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে পুলিশের পোশাকে কে এই যুবক?

নাঈম হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার :
রাজশাহীতে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে পুলিশের পোশাকে কে এই যুবক?

রাজশাহীর মতিহার থানাধীন শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি, বিভিন্ন মামলার আসামি মেহেদী হাসান অলি, পিতাঃ আকবর আলী বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের শেষ নেই। সম্প্রতি তাকে পুলিশের পোশাক পরে কোমরে অস্ত্র ঝুলিতে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তার অপকর্মের সাথে জড়িত কেউ কথা বললে নিজেকে র‍্যাবের সোর্স অথবা পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার লোক পরিচয় দিয়ে মেরে ফেলার এবং মাদক কিংবা অস্ত্র মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তার এসকল অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।

জানা যায় মতিহার থানা অঞ্চলে তালাইমারি পাওয়ার হাউজ পাড়া,জাহাজ ঘাট মহব্বতের ঘাট,সাতবাড়িয়া ডাঁশমারি স্কুল মোড়,মালিকের মোড়,সুরাফানের মোড়ের মাদক ডিলার অলি এখন অনেক বড় মাপের মাদক ব্যবসায়ী।

তবে অলি মাদক নিজে বহন করে না এমনকি ধরে দেখে না তার এসকল কাজ করে অন্য মানুষ দিয়ে। হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিল,ইয়াবা হেরোইনের চালান লেনদেন করে অলি। সে একজন হোয়াইট কালার মাদক ব্যবসায়ী বিভিন্ন সিন্ডিকেট এর সাথে যোগসাজেসে বিভিন্ন এলাকায় মাদক পাচার করে থাকে।

এমনকি সিন্ডিকেটের ব্যক্তি ধরা পড়লে পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ হেড কোয়াটার্স এ চিঠি দেয় এবং বদলী করার জন্য তৎপর হয়।

সারাদিন ঘুমিয়ে সন্ধ্যার পর শুরু করে মাদকের কারবার। তার বিষয়ে পুরো ডাঁশমারী মিজানের মোড় সুরাপানের মোড়ের অধিকাংশ বাসিন্দারা জানে।

বিস্তারিত ওই এলাকার অটোরিকশা চালক জৈনক হানিফকে জিজ্ঞাসা করলে বিস্তারিত জানা যায়। শুধু হানিফ নয় আরো অনেক হানিফ অলির ব্যাপারে বলবে সে কতো বড় মাদক ডিলার।

তবে তার বিশেষ গুন হচ্ছে সে পুলিশ প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তা- কর্মচারীর সাথে গভীর সম্পর্ক রেখে চলে।

মানুষ দেখানো ছোট ছোট মাদক ব্যবসায়ী কে ধরিয়ে দেয়। পুলিশের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন মাদক স্পর্ট থেকে টাকা তোলে এবং কেউ টাকা না দিলে তাকে ধরিয়ে দেয়।

যেখানে পুলিশ সম্মানের সাথে জনগণের সেবা করে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে পুলিশের পোশাক পরে অলি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে লিখালিখি হলেও বহাল তবিয়তে তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে আরএমপি সাবেক পুলিশ কমিশনের কয়াছে অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী। তার নামে মতিহার থানায় একাধিক জিডি ও অভিযোগ থাকলেও থেমে তার বিলাসী জীবন।

অলির নামে বাংলাদেশ পুলিশ এন্টি টেররিজম ইউনিটে অভিযোগ অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিয়েছে। অলির বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে সে প্রশাসনের ভয় দেখায়।

তার নামে কিছুদিন পূর্বে পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী নারী। কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে সে বহাল তবিয়তে একই কাজে লিপ্ত হচ্ছে। অলির মূলত কাজ মেয়ে ব্যাবসা,মাদক ব্যাবসা,প্রতারণা, ব্ল্যাকমেইলিং ও সন্ত্রাসী কার্মকান্ড পরিচালনা করা।

এসকল অপকর্মে অতিষ্ঠ খোদ প্রশাসন। অলির অপকর্ম বন্ধের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী ও সচেতন নাগরিক মহল।

অপরাধীরা বিভিন্ন সময় পুলিশের পোশাক ও সরঞ্জাম ব্যবহার অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে ভয়-ভীতি দেখানো থেকে শুরু করে হয়রানি, চাঁদাবাজির মতো অপরাধ সংঘটিত করা হয় বিভিন্ন বাহিনীর ইউনিফর্মে। এ অপরাধীদের কারণে সুনাম নষ্ট হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। একারনে পুলিশের পোশাক ব্যবহার করে অপরাধ ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ পুলিশ সদর দফতরকে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার ওই রির্পোটে খোলা বাজারে ইউনিফর্ম ও সরঞ্জাম বিক্রি নিরুৎসাহিত করার কথা উল্লেখ করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ