রাজশাহীর বাঘায় সরকারি ভি.জি.এফ’র চাল মজুদের খবরে শনিবার (২৯এপ্রিল) দুপুরে বাঘা পৌর সভার নারায়নপুর বাজারস্থ গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। সেখানে চালের পরিবর্তে ভুট্টার বস্তা পাওয়া গেছে। গোডাউনটি পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর বলে জানা গেছে। সেটি দেখভাল করে পৌর মেয়রের সহোদর ভাই সাবদার আলী।
জানা যায়, শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোপন তথ্যর ভিত্তিতে জানতে পারেন ঈদের আগে দেওয়া ভি.জি.এফ এর কিছু চাল দুঃস্থদের না দিয়ে পৌর মেয়র আক্কাস আলীর নারায়নপুর বাজারস্থ গোডাউনে মজুদ রাখা হয়েছে। এমন খবরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে সেখানে অভিযান চালান, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা, পৌর সভার ট্যাগ অফিসার মনসুর আলী।
এ বিষয়ে মনসুর আলী বলেন, পৌর মেয়র আক্কাস আলীর নারায়নপুর বাজারস্থ গোডাউনে সরকারি কোন চা’ল পাওয়া যায়নি। সেখানে ভুট্টার বস্তা পাওয়া গেছে। ভুট্টার বস্তা দেখে সরকারি চাল মজুতের ভ’ল তথ্য দিয়েছে। তিনি জানান, ঈদের আগে বাঘা পৌর সভা থেকে ৪ হাজার ৭ শ’ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ভি.জি.এফ এর যে চাল বিতরণ করা হয়েছে, আমি সেটি দেখভালের দায়িত্বে ছিলাম। কোন অনিয়ম কিংবা অবশিষ্ট কোন চাল ছিলনা।
পৌর মেয়র আক্কাছ আলী বলেন, আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। পাশাপশি ব্যবসা রয়েছে। যা দেখা শোনা করেন আমার সহোদর ভাই সাবদার মন্ডল। চরাঞ্চলের ভুট্টা কিনে গোডউনে রাখা হয়েছে।
পৌর মেয়র বলেন,রাজনৈতিক লবিং-গ্রুপিং এর কারনে প্রতিহিংসামূলক অসত্য তথ্য দিয়ে আমার জনপ্রিয়তাকে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। তবে কাদা ছুড়া-ছুড়ির সীমা লংঘন করা উচিৎ নয় বলেও মনে করেন মেয়র আক্কাছ আলী। ঈদের আগে সরকারি বরাদ্দের বাইরেও বাজার থেকে চাল কিনে দিয়েছেন বলে দাবি তার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসাল শারমিন আখতার বলেন,আমার প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা মনসুর আলীকে পাঠিয়েছিলাম। সেখানে চালের কোন বস্তা পাওয়া যায়নি।