রাজশাহীর পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয় থেকে ফাঁকা গুলি ও ককটেল ফাটিয়ে হাট—বাজার ইজারার টেন্ডার বক্সের দরপত্র লুটের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে জড়িতদের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেলেও মামলার এজাহারে কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে পবা উপজেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কায়সারুল আলম বাদি হয়ে নগরের শাহমখদুম থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত আমান আজিজ বলেন, যেহেতু আসামিদের আমরা চিনি না। তাই এজাহারে কারো নাম উল্লেখ করা হয় নি। তবে সিটি ফুটেজ দেখে পুলিশ অভিযুক্তদের শনাক্ত করবে। আর হাট—বাজার ইজারার জন্য পুনঃবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আবারও দরপত্র জমা নেয়া হবে।
নগরের রাজশাহীর শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুমা মোস্তারী জানান, আমরা তদন্ত করছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজও দেখা হচ্ছে। তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তবে এখন পর্যন্ত এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
এর আগে সোমবার দুপুরে রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফাঁকা গুলি ও ককটেল ফাটিয়ে হাট-বাজার ইজারার টেন্ডার বক্সের দরপত্র লুটের ঘটনা ঘটে। এতে জড়িতরা ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর’ শ্লোগান দিচ্ছিলেন বলে দাবি করেন স্থানীয় যুবদলের এক নেত। ওই যুবদল নেতাও লোকজন নিয়ে দরপত্র দাখিল করতে যান।
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ওই ১২টি হাটের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খড়খড়ি হাট। এই হাট প্রতিদিনই বসে। এই হাট থেকেই প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্তে শাক-সবজি যায়। স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, জামায়াত ও শিবিরের মোট পাঁচটি গ্রুপ এই হাট ইজারা নিতে আগ্রহী ছিলেন। ওই পাঁচটি গ্রুপের মধ্যে আলোচনা ছিল যে তাদের পক্ষ থেকে একটি দরপত্রই জমা দেওয়া হবে। এতে কম টাকায় হাট যেমন ইজারা পাওয়া যাবে, তেমনি সমঝোতা করে সবাই হাটের অংশীদার থাকবেন। কিন্তু স্থানীয় এক যুবদল নেতা এই সমঝোতা মানেননি। দরপত্র দাখিলের শেষ দিন দুপুরে ওই যুবদল নেতা তার অনুসারীদের নিয়ে টেন্ডার বক্সে দরপত্র জমা দিতে যান। এ সময় তাকে অপর চারটি গ্রুপের লোকজন দরপত্র জমা দিতে বাধা দেন। তার পরও ওই যুবদল নেতা বক্সে দরপত্র ফেললে টেন্ডার বক্স ভেঙেই সব দরপত্র লুটের ঘটনা ঘটে।