সাম্প্রতিক অগ্নিদুর্ঘটনা ইস্যুতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে দোকান থেকে দাহ্য পদার্থ সরানো, মার্কেটে স্মোক ডিটেকটর লাগানোসহ ৯টি নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বিভাগ থেকে সম্প্রতি দেশের সব সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সব পৌরসভার মেয়রকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
‘সাম্প্রতিক অগ্নিদুর্ঘটনাগুলো পর্যালোচনাসহ জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সমসাময়িক বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ’ শীর্ষক চিঠিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক অগ্নিদুর্ঘটনাগুলো পর্যালোচনাসহ জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সমসাময়িক বিষয়ে ১৭ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রদত্ত নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নবর্ণিত কার্যক্রমগুলো গ্রহণের অনুরোধ করা হলো:
(১) সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত মার্কেটগুলোতে সংশ্লিষ্ট মার্কেট ব্যবস্থাপনা কমিটির তত্ত্বাবধানে দিনে ও রাতে স্ব স্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার/নিশ্চিত করতে হবে।
(২) যেসব মার্কেটে সিসি ক্যামেরা রয়েছে তা সচল রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং যেসব মার্কেটে সিসি ক্যামেরা নেই সেখানে সিসি ক্যামেরা লাগানো নিশ্চিত করতে হবে। সিসি ক্যামেরার তথ্য সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে প্রয়োজনে শেয়ার করতে হবে।
(৩) যেসব মার্কেটে জায়গার অপ্রতুলতা রয়েছে কিন্তু লোকসমাগম বেশি হয় সেসব মার্কেটে অগ্নিপ্রতিরোধে স্মোক ডিটেকটর লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
(৪) মার্কেটগুলোতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সংযোগ সঠিক ও নিরাপদ আছে কি না, তা যাচাই করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করতে হবে।
(৫) যেসব মার্কেটের দোকান/গোডাউনে রাসায়নিক দ্রব্য ও দাহ্য পদার্থ রয়েছে অথবা রাসায়নিক দ্রব্যের কারখানা রয়েছে সেগুলো দ্রুত অন্যত্র নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
(৬) সব মার্কেটে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র সচল রাখতে হবে এবং পর্যাপ্ত ওয়াটার/ফায়ারহাইড্রেন্ট স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
(৭) মার্কেটগুলোতে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের চলাচল নিশ্চিত রাখতে হবে। যেসব মার্কেটে কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম) বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এয়ার কুলার) বিদ্যমান আছে তা যাতে পর্যাপ্ত, কার্যকর ও সচল থাকে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
(৮) প্রত্যেক ঈদ জামায়াতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
(৯) ঈদের সময় সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মালিকানাধীন/ব্যবস্থাপনাধীন সড়কগুলো প্রয়োজনীয় মেরামত/সংস্কার করে যাতায়াত ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ওপরে বর্ণিত কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়র জন্য সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে নির্দেশক্রমে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে নেওয়া সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ/কার্যপদ্ধতি এ বিভাগকে অবিলম্বে অবহিত করার জন্যও অনুরোধ করা হলো।