মৎস্য ও মৎস্য পণ্য আইন-২০২৩ এর বিধিমালা বাতিল সহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফিশারীজ সমিতি। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ফিশারীজ বিভাগের সভাপতি ড. মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘যদি এমন হতো বাংলাদেশে ফিশারীজ সেক্টরের কোনো অবদান নেই বা ক্রমেই অবনতি ঘটছে তাহলে অন্য বিভাগের হস্তক্ষেপ করার যৌক্তিতা ছিল। কিন্তু গ্রাজুয়েটদের ভূমিকায় মৎস্য খাতন আজ অনন্য উচ্চতায় পৌছানোর পরেও এই ধরনের আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।’
ফিশারীজ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও ফুড ফর দ্যা হাংরি এর মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, ‘যারা যে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তারাই শুধু সে বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারেন অন্য কেউ নয়। নইলে মৎস্য ক্ষেত্রে যে বিপর্যায় নেমে আসবে তার দায় দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।’
এ সময় তারা তিন দফা দাবিও জানান। দাবিগুলো হলো, বির্তকিত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রন) ২০২৩ এর খসড়া নীতিমালা বাতিল , মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের আমদানি বা রপ্তানীর ক্ষেত্রে পণ্যের প্রক্সিমেট কম্পোজিশন এর সার্টিফিকেট বা অনুমোদন মৎস্য অধিদপ্তর এবং মৎস্যবিদগণ প্রদান করবে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফিশারীজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এম মনজুরুল আলম, অধ্যাপক ইয়ামিন হোসেন, অধ্যাপক মোজতাফিজুর রহমান, ড. গালিব, ড. আকতার হোসেন প্রমুখ।
সঞ্চালনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফিশারীজ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জিসান।
উল্লেখ্য, বিতর্কিত বিধিমালার ষষ্ঠ অধ্যায়ের ২০(৪) বিধিতে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়াান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা মৎস্যের রোগ নিরাময়ে যে ঔষধ যে ভাবে ব্যবস্থাপত্রে নির্দেশনা প্রদান করিবেন সেই ভাবে প্রয়োগ করা যাইবে এবং খামার মালিক এইরুপ ব্যবস্থাপত্র মৎস্য আহরণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংরক্ষণ করিবে।