ঋতু পরিবর্তনে অসুস্থ হওয়াটা স্বাভাবিক। শীতের এ সময় দেশে ঘরে ঘরে হাঁচি, সর্দি-কাশি, ফ্লু, বন্ধ নাক ইত্যাদি নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। ঠান্ডার কারণে গরম পানির ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। তবে গরম পানির সঙ্গে কিছু খাবার যুক্ত করলে পুষ্টি উপাদান যেমন বাড়ে, তেমনি ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে বাড়াতে সহায়তা করে। এমনই কিছু খাবার সম্পর্কে জানা যাক।
জ্বর, সর্দি-কাশিতে গরম স্যুপ খুবই আরামদায়ক। ঠান্ডা লাগলে বা সর্দি–কাশি হলে মুখের স্বাদও চলে যায়। স্বাদ ফেরাতে গোলমরিচ যুক্ত করে সবজি বা চিকেন স্যুপের চেয়ে আরামদায়ক খাবার আর কী হতে পারে। গরম স্যুপ মিউকাস কমাতেও সাহায্য করে। পরিবারের শিশু বা বয়স্ক যাঁরা ঠান্ডায় কিছুই খেতে চান না, তাঁদের জন্য গরম স্যুপ হতে পারে পুষ্টির উৎস।
কালিজিরা ও রসুন ধুয়ে-শুকিয়ে তাওয়ায় অল্প আঁচে টেলে নিন। এরপর বেটে বা ব্লেন্ড করে শর্ষের তেল ও লবণ মেখে গরম ভাতের সঙ্গে খেলে বন্ধ নাক না খুলে উপায় নেই। এ ছাড়া সর্দি-কাশিতে আরাম পেতে ও ভেতর থেকে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে রসুন ও কালিজিরার জুড়ি মেলা ভার।
জ্বর, কাশি হলে শরীর আর্দ্রতা হারায়। এ সময় বেশি করে পানি খাওয়া উচিত। পানি খাওয়ার পাশাপাশি খেতে পারেন ডাবের পানি। বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ এ পানীয় সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়তে দারুণ সাহায্য করে।
গলায় খুসখুসে ভাব দূর করতে ব্যবহার করা হয় মসলা চা। এক চামচ আদাকুচি, একটি তেজপাতা ও লবঙ্গ দিয়ে দুই কাপ পানি ফুটিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে খুসখুসে ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আদা-মধুর অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া কমায় ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
পুদিনাপাতা দিয়ে তৈরি চা–কে পেপারমিন্ট চা বলা হয়। পুদিনাপাতা গরম পানিতে দিয়ে চা–পাতা ছিটিয়ে এক কাপ চা খেলে ঠান্ডায় স্বস্তি মেলে। পুদিনা চায়ে থাকা নানা রকম ঔষধি গুণ আপনাকে সারা দিন সুরক্ষা পাওয়ার নিশ্চয়তা দেবে। এমনকি সাইনাস ও মাইগ্রেনে ভুক্তভোগীরাও এ পানীয়ে চুমুক দিলে উপকার পাবেন।